Title: রাতের ঘুম কেড়েছে চাকরি প্রার্থীদের! বড়সড় ঘোষণা সরকারি চাকরি নিয়ে! আপাতত বন্ধই থাকছে রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া!
Focus:
রাতের ঘুম কেড়েছে
চাকরি প্রার্থীদের!
বড়সড় ঘোষণা
সরকারি চাকরি নিয়ে!
আপাতত বন্ধই থাকছে
রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া!
মাথায় হাত
চাকরী প্রার্থীদের!
হঠাৎ কেনো এমন সিদ্ধান্ত?
কবে থেকে শুরু হবে
আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া?
কি জানাচ্ছে
রাজ্য সরকার?
দেখুন
Body:
দিন যত এগোচ্ছে ততই যেন চাকরীর হাহাকার শুরু হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন চাকরীর ছড়াছড়ি, কিন্তু প্রার্থীর অভাব! তবে এখন হচ্ছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি চাকরীর অভাব। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কাটতে না কাটতেই বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয়। কিন্তু বছরের পর বছর পড়াশুনা করেও সেই বিগ জিরো। সরকারী চাকরি কোথায়? এমনকি চাকরীর পরীক্ষাও বা কোথায়। মাঝে মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি চাকরী হয়ে থাকে। সেখানে ভাগ্যে জোর থাকলে থুড়ি পকেটের জোর থাকলেই চাকরি পাওয়া যায়।
ভোট আসলেই দল নেতা-নেত্রীরা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। মুখে বড় বড় বাতেলা দিলেও, তবে সেই কাজ করার বেলায় সকলেই অষ্টরম্ভা। ক্ষমতায় আসার পরেও রাজ্যের অবস্থা যেই কি সেই! এত বড় বড় প্রতিশ্রুতি সবই ঠুনকো! বিশেষ করে চাকরিপ্রার্থীদের যে অঙ্গীকার দেওয়া হয়,,,,সেটা বাস্তবে কখনোই পূরণ হয়ে না। এই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে আমজনতারা। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কোথায় চাকরি? কেন বারবার ছুটে যেতে হয় অন্য রাজ্যে? আর এই অবস্থাতেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড়সড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে রাজ্যে কোন রকমের সরকারি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
সরকারের এহেন ঘোষণা শুনে কপাল চাপড়াচ্ছে চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২৪ এ সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে বন্ধ করা হয়েছে। ডব্লিউবিসিএস এর মত বড় পরীক্ষা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষার স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয় সেই সাথে কোন বিজ্ঞপ্তিও জারি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে নবান্নর তরফ থেকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের এমন ঘোষণার কারণটা ঠিক কি?
বেশ কিছুদিন আগেই ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। সেখানে সাল উল্লেখ করে বলা হয়েছে ২০১০ সালের পর থেকে যেসকল শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছে সেগুলি সব আইনবিরুদ্ধ। এই সকল সার্টিফিকেটের কোন গুরুত্ব নেই। তাই ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভোটের আগেই এই ঘোষণা করা হয়। আর এই ঘোষণার কারণে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কোন চাকরীপ্রার্থীদের যাতে চাকরির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটা চাননা তিনি। তাই ঘোষণা করেন ভোটের পর পরই এই বিষয়ে তিনি তৎপর হবেন। যতদিন না সুপ্রিম কোর্ট এর বিরুদ্ধে সঠিক রায় না দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। এবং ততদিন পর্যন্ত চাকরির কোন নিয়োগ প্রক্রিয়াও করা যাবে না। শুধু তাই নয় চলতি বছরেই ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তখন ও রাজ্য সরকার এর বিরুদ্ধে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হয়। এবং সেই বিষয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে। এখন ভোটের পর এই বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন রাজ্য সরকার। ঠিক এই দুই কারণেই রাজ্যের সমস্ত চাকরি প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
একেই বাংলা চাকরীতে দুর্নীতি করতে সিদ্ধহস্ত। তার উপর যেটুকু আশার আলো সঞ্চার ছিল তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ঘোষণার পর হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কবে এই চাকরির নিয়োগের সুদিন আসে।
Leave a Reply