স্কুল খুলতে না খুলতেই ফের ছুটি!

Title: স্কুল খুলতে না খুলতেই ফের ছুটি! গরমের জন্য দেড় মাস পর খুললো স্কুল! গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা ছাত্রদের! এরই মধ্যে স্কুল ছুটির নতুন আপডেট!

Focus:

স্কুল খুলতে না
খুলতেই ফের ছুটি!

গরমের জন্য দেড়
মাস পর খুললো স্কুল!

গরমে ঘেমে নেয়ে
একাকার অবস্থা ছাত্রদের!

এরই মধ্যে স্কুল
ছুটির নতুন আপডেট!

এখনই পড়াশোনা শুরু
হচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীদের!

সত্যিই কি আবারো
ছুটি পড়তে চলেছে?

কি জানাচ্ছে শিক্ষা দপ্তর?
দেখুন

Body:

লম্বা ছুটির পর সদ্যই চালু হয়েছে সরকারি পঠন-পাঠন। গোটা এপ্রিল জুড়ে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হয় পশ্চিমবঙ্গবাসীদের। এপ্রিলে বেশকিছু জেলায় জেলায় তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪৮° ঘরে। শুধু গরমই নয় সাথে তীব্র তাপপ্রবাহ নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে থাকে। সেইসাথে হিটস্ট্রোকের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে। দিনের পর দিন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখে শিক্ষা দপ্তর থেকে স্কুল ছুটির ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাচ্চারা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য ২২ এপ্রিল থেকেই সমস্ত সরকারি স্কুলগুলোতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে গরমে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল ৬ই মে থেকে। মাঝখানে আবার ভোট চলায় ছুটির সময়সীমা আরো বেড়ে যায়। টানা দেড় মাসের মাথায় গিয়ে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের দ্বার খোলে।

তবে স্কুল খুললেও স্বাভাবিকভাবে কতদিন স্কুল চলবে সেটাই এখন প্রশ্ন। কারণ যেদিন থেকে স্কুল খুলেছে ঠিক কয়েকদিন আগে থেকেই তাপমাত্রা আবারো বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে যেদিন স্কুল খুলেছে অর্থাৎ সোমবার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। কোথাও কোথাও ৪৪° ডিগ্রীও পার করে ফেলেছে। এমনকি তীব্র তাপপ্রবাহের মত সমস্যার সম্মূখীন হতে হয় বঙ্গবাসীদের। বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা শুরু হয়। এমতাবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের অসুস্থতার কথা আবারো মাথাচাড়া দিয়েছে। এদিন স্কুল খুললেও গরমের দাপটে খুব একটা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখা যায় না।

এমনকি তাপপ্রবাহের জেরে বাঁকুড়ায় পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবরও উঠে আসে। আর এমন পরিস্থিতি দেখে ফের একবার দাবি উঠছে স্কুল ছুটির কিংবা মর্নিং স্কুল করানোর। অন্যদিকে স্কুল খুললেও পরিস্থিতি এমন বেগতিক দেখে বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধের পথেই হাঁটছে। আগামী ১৭ ই জুন অব্দি বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি স্কুল গুলোর ক্ষেত্রে ঠিক কি হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর থেকে তেমন কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে অভিভাবকেরা এই মুহূর্তে তাদের সন্তানদের স্কুল পাঠাতে নারাজ। পরিস্থিতি মাথায় রেখে শিক্ষা দপ্তর কি ঘোষণা করে সেটাই দেখার পালা।

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মতো দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একই পরিস্থিতি। তীব্র তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখে প্রায় প্রতিটি রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মত উষ্ণতম রাজ্যগুলিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আপাতত ছুটি থাকছে বলেই জানা যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *